রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়ে থাকে অনবরত। মূলত সেসব ছাত্র ছাত্রী কিংবা পড়ুয়া যারা অনেক দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করার কথা ভাবছেন কিংবা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান তাদের জন্য বিশেষ আশীর্বাদ স্বরূপ কাজ করে এই স্কলারশিপ তথা বৃত্তি। আগে দেখা যেত যে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার তথা তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা গুলি এই স্কলারশিপের আয়োজন করত। তবে এখন বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থা গুলিও সমানভবে এগিয়ে আসছে এই স্কলারশিপ প্রদানের লক্ষ্যে।
আজ আমরা এক নতুন স্কলারশিপ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এটি মূলত একটি প্রাইভেট সংস্থা তথা কোম্পানি দ্বারা দেওয়া হচ্ছে। এই স্কলারশিপ প্রদান করবে ফিলিপস (Philips) কোম্পানি। মোটামুটি সবাই এই কোম্পানি সম্পর্কে অবগত।
স্কলারশিপের ধারণা: সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য শাখা প্রশাখা রয়েছে এই Philips এর। বিশাল অঙ্কের অর্থ উপার্জনকারী এই সংস্থা এবার ভাবা শুরু করেছে দেশের পড়ুয়াদের জন্য। মূলত মেধাবী ছাত্র ছাত্রী অর্থাৎ যারা পড়াশুনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং যদি তারা পড়াশুনা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম না থাকেন তাদের মোটা অঙ্কের টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
আবেদনকারীর যোগ্যতা: এখানে যদি স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে চান তবে কিছু যোগ্যতা থাকা দরকার আপনার।
1. প্রথমত, আপনাকে যেকোনো স্বীকৃত স্কুল বোর্ড কিংবা সংস্থা থেকে ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকতেই হবে।
2. মূলত 75% নম্বর সহ যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবেন তারা বিশেষভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য।
3. আবেদনকারীর বার্ষিক আয় থাকবে ন্যুনতম। সেক্ষেত্রে আয় কোনো ভাবেই 6 লাখ টাকার ওপরে থাকবে না।
4. উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল সম্পর্কিত যেকোনো একটি কোর্স এ ভর্তি হয়ে থাকতে হবে।
5. আবেদনকারীর নামে একটি বৈধ এবং সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার যেখানে তিনি টাকা পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি: অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানান। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
1. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এই অনলাইন আবেদন জানানোর জন্য সবার প্রথমে।
2. নিজের যাবতীয় সকল প্রকার তথ্য সঙ্গে রাখবেন এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন তথা ফর্ম ফিলাপ এর ক্ষেত্রে।
3. নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, জেন্ডার, ঠিকানা, কাস্ট স্ট্যাটাস ইত্যাদি তথ্য রাখবেন সেক্ষেত্রে।
4. অবশ্যই একটি বৈধ এবং সক্রিয় মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি সঙ্গে রাখবেন আবেদন করার ক্ষেত্রে।
5. সবার শেষে যাবতীয় কিছু ডকুমেন্ট সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজের ফটো, সিগনেচার ইত্যাদি আপলোড করতে বললে এক এক করে আপলোড করে আবেদনের কাজ সম্পন্ন করুন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: এই আবেদনের ক্ষেত্রে যাবতীয় কিছু ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে হবে। সেগুলি নিচে দেওয়া হয়েছে।
1. বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড কিংবা বার্থ সার্টিফিকেট
2. স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ড
3. ইনকাম তথা রেসিডেনসিয়াল সার্টিফিকেট নিজস্ব পঞ্চায়েত থেকে
4. পাসপোর্ট সাইজের ফটো এবং সিগনেচার
5. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্ট
6. ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এর পাস বুক এর প্রথম পেজ
7. বৈধ এবং সক্রিয় মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি
আবেদনের সময়সীমা: ইতিমধ্যে আবেদনের কাজ শুরু হয়ে আবেদন চলছে। অনলাইন আবেদন চলবে আগামী 31 জানুয়ারি পর্যন্ত।
APPLY ONLINE: CLICK HERE
ভবিষ্যতে চাকরি কিংবা স্কলারশিপ এর এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আপডেট পেতে চান? তবে আজই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান।
TELEGRAM CHANNEL: JOIN HERE
MORE NEWS: CLICK HERE