খুব ভালো সুখবর রাজ্যের সমগ্র চাকরিপ্রার্থী, শিক্ষার্থী তথা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। এবার থেকে একই সঙ্গে যেকোনো শিক্ষার্থী জারি রাখতে পারবেন দুটি কোর্স। অর্থাৎ কলেজে ডিগ্রি কোর্স এ ভর্তি হয়ে সেটি চালু রাখার পাশাপাশি তিনি করতে পারবেন আলাদা কোনো ডিগ্রি কিংবা ডিপ্লোমা কোর্স। মূলত এমন এক বিরাট ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের শিক্ষায় বিরাট বিপ্লব আসতে চলেছে বলে ধারণা করা যায়। এবং University Grants Commission অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথা UGC এর হাত ধরেই ঘটতে চলেছে শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন বিপ্লব।
উল্লেখ্য, আজ 12 জানুয়ারি, 2022 মঙ্গলবার এমন বিরাট ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখন থেকে কোনো শিক্ষার্থী চাইলেই একই সঙ্গে দুটি রেগুলার তথা ফুল টাইম কোর্স চালু রাখতে পারবে। এযাবৎ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এমন কোনো অনুমতি দিয়েছিল না যেখানে কোনো শিক্ষার্থী চাইলে একই সঙ্গে দুটি পূর্ণকালীন রেগুলার অর্থাৎ Formal কোর্স করতে পারত। কিন্তু এখন থেকে ইউজিসি এমনটাই জানিয়ে দিল যে কেউ চাইলেই এখন থেকে দুটি ফুলটাইম প্রোগ্রাম তথা কোর্স একই সঙ্গে বহাল রাখতে পারবেন। আগামী 13 জুলাই, 2022 তথা বুধবার UGC এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে যেখানে বিস্তারিত বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
এবং এই নির্দেশিকা সমগ্র দেশের পাশাপশি রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে। UGC এর বর্তমান চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার উল্লেখ করে বলেন যে, ছাত্র ছাত্রীরা একই সঙ্গে একটি ডিগ্রি ও একটি ডিপ্লোমা কিংবা একই সঙ্গে দুটি ডিগ্রি কোর্স কিংবা একই সঙ্গে দুটি মাস্টার প্রোগ্রাম চালু রাখতে পারেন।
এবং সঙ্গে একজন যদি ইতিমধ্যে একটি স্নাতকোত্তর প্রোগাম চালু রাখার পাশাপাশি অন্য কোনো বিভাগে আরেকটি স্নাতক ডিগ্রি করতে ইচ্ছুক হন, সেক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। তবে উভয় কোর্সের জন্য ক্লাসের সময় হতে হিবে ভিন্ন।
এক্ষেত্রে ক্লাস প্রক্রিয়া হতে পারে এমনটা –
দুটি প্রোগ্রামের জন্য একটি নিয়মিত ও অন্যটি অনলাইন ক্লাস। কিংবা, দুটিই নিয়মিত ক্লাস কিংবা দুটিই অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস।
এর মাধ্যমে আরেকটি কথা বলা যায়, যে এখন থেকে কোনো শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর একটি ডিগ্রি কোর্স তথা স্নাতক কোর্স এ ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি করতে পারবেন D.El.Ed কিংবা কেউ যদি স্নাতক শেষে স্নাতকোত্তর ও B.Ed একই সঙ্গে করতে চান, সেক্ষেত্রেও এই গাইডলাইন প্রযোজ্য। অর্থাৎ, একজন শিক্ষার্থীর অনেকটা সময় সাশ্রয় হবে এই নির্দেশিকার মাধ্যমে এই নিয়ম লাগু হওয়ার পর। এবং সমগ্র দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা জীবনের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে।