বর্তমানে দেশের বিশেষ করে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র মানুষের নানান গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো রেশন কার্ড। বিশেষ করে এর গুরুত্ব বোঝা গিয়েছে করোনা আবহে তথা লকডাউনের মধ্যে। দেশের অনেক সাধারণ মানুষ করোনা আবহে রেশন কার্ডের সাহায্যে বিনামূল্যে নানান জিনিস পত্র পেয়েছেন সরকারের কাছ থেকে যার দ্বারা অনেক উপকৃত হয়েছেন তারা। কিন্তু এই রেশন কার্ডেও জালিয়াতির অন্ত নেই। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এবং কিছু শ্রেণীর মানুষেরা ছিল যারা নকল রেশন কার্ড দেখিয়ে অবৈধ ভাবে সরকারের রেশন আত্মসাৎ করেছে। এর ফলে যাদের রেশন প্রয়োজন তারা হয়েছেন বঞ্চিত। তাই এই জালিয়াতি এবং অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করেছে প্রায় ৪.৩৯ কোটি রেশন কার্ড। এর ফলে রেশন কার্ডের জালিয়াতি অনেকটাই বন্ধ করা যাবে বলে আশা করা যায়। সরকারের লক্ষ্য একটাই, সমস্ত রকম অবৈধ কাজ বন্ধ করে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী জনসাধারণের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া। সরকার এই জালিয়াতি রুখতে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারচুপি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে এক হোমওয়ার্ক শুরু করে যাতে অনেকটাই সাফল্য পাওয়া যাবে বলে দাবি। 


বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সমাজের কিছু শ্রেণীর মানুষ তথা অসাধু ব্যবসায়ীরা করতো এই রেশন জালিয়াতি। দেখা গিয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরও অবৈধ ভাবে পরিবারের লোকজন তাঁর নামের রেশন তুলত। আবার অনেক সময় কেউ কেউ তাদের ঠিকানা বদলের পরও তুলত তাদের রেশন। এছাড়াও কোনো ব্যক্তি তাদের নিজেদের রেশন অন্যদের দিয়ে তুলে নিয়ে তা বাজারে বিক্রি করতো। আরও নানান পন্থা অবলম্বন করতো কিছু শ্রেণীর মানুষ এসব অবৈধ কাজ করার।

কিন্তু সরকারের চোখে এই জালিয়াতি ধরা পড়ার পরে তারা বিভিন্ন ভাবে এই জালিয়াতি রুখতে নানান পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। এবার থেকে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্কের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং দেশের নানান রাজ্যে সব ভুয়ো এবং অবৈধ রেশন কার্ড চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারের দাবি এর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত এবং লাভবান হবেন সঙ্গে তাদের প্রয়োজনীয় রেশন পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *